মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩সত্য ও সুন্দর আগামীর স্বপ্নে...

সাক্ষাৎকার

শহীদদের সমাধি সংরক্ষণ চান মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম

শহীদদের সমাধি সংরক্ষণ চান মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম

লক্ষ্মীপুর, সাক্ষাৎকার
নুর মোহাম্মদ : বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সমাধি সংরক্ষণ ও স্মৃতিফলক নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম। নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, অনেক রক্ত আর প্রাণের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। এখন দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ কাজ তরুণদের করতে হবে। নিজ কাজের মধ্য থেকে প্রতিদিন ১০ মিনিট দেশের জন্য ভাবতে হবে। তাহলে দেশকে উন্নয়নের শেকড়ে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। তবেই তরুণ প্রজন্ম সার্থকতা লাভ করবে। রোববার (২ ডিসেম্বর) এক সাক্ষাতকারে মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন। ১৯৫২ সালের ১১ জানুয়ারী লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৮নং করপাড়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন শামসুল ইসলাম। মাওলানা আব্দুল আজিজ এবং মা নুরুন নহারের ৬ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্য তিনি সবার ছোট। বর্তমানে তিনি লক্ষীপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড মিয়া বাড়ীর রোডে নিজের মালিকানাধীন ‘মুক্ত বাংলা’
নাগরিক সুবিধা নেই, পিছিয়ে রামগতি পৌরসভা

নাগরিক সুবিধা নেই, পিছিয়ে রামগতি পৌরসভা

টপ সেকশন-২, রামগতি, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাক্ষাৎকার
রামগতি : ১৪হাজার ৭৮০ মিটার কাঁচা রাস্তা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ঘরে-ঘরে বিদ্যুত পৌঁছেনি। বিশুদ্ধ পানির অভাব। ময়লা অবর্জন পেলতে নিদিষ্ট ব্যবস্থা নেই। রাস্তায় চলতে অন্ধকারে নেই আলো। পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাব। সামান্য পাকা রাস্তা থাকলেও সংস্কার অভাবে ব্যবহারের অযোগ্য। এসব পরিস্থিতিতে পিছিয়ে রয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা। এতে সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে নাগরিক। সম্প্রতি পৌরসভাটি ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু বাড়িনি নাগরিক সুবিধা। লক্ষ্মীপুর জেলায় সর্বশেষ গঠিত হয়েছে রামগতি পৌরসভা। ২০০০ সালে রামগতি পৌরসভা গঠিত হয়। উপজেলার চর আলেকজান্ডার, চর আলগী ও চর বাদাম ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে মেঘনা নদীর কোল ঘেষে ১১.৮১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে এ পৌরসভা। এটি ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়। মেঘনার ভাঙনে পৌর এলাকার আয়তন কমলেও জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ হাজারে। এ পৌরসভায় কোন কলকারখানা, শিল্প
লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থলে  স্মৃতি ফলক করা হোক: মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির তোফায়েল

লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থলে স্মৃতি ফলক করা হোক: মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির তোফায়েল

শিল্প-সাহিত্য, সাক্ষাৎকার
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ড মিয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন করিব তোফায়েল। ১৯৪৭ সালে ৫ অক্টোবর পিতা বজলু রহমান ও মা ফাতেমা খাতুনের ঘর আলো করে জন্ম নেন এ বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধু লক্ষ্মীপুরে মাদাম ব্রীজ সংলগ্ন যে স্থানে দাড়িয়ে জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন সেখানে একটি স্মৃতি ফলক স্থাপন করে সংরক্ষণ করতে হবে। এমনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে একাত্তরের এ মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় তিনি ছিলেন ২৪ বছর টগবগে এক যুবক। ছাত্র জীবন থেকেই ছিলেন ছাত্রলীগের সমর্থক। ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন এবং ৬৯’র গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা অংশ গ্রহণের প্রেক্ষাপট জানতে চাইলে এ মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকেই আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। পরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিত হামলা করে। মজুপুরে পার্বতীপালসহ অনেককে হত্যা করে। তখন আমরা বুঝে ফ
মুক্তিযোদ্ধা নুরের নবী চৌধুরীর কিছু কথা

মুক্তিযোদ্ধা নুরের নবী চৌধুরীর কিছু কথা

শিল্প-সাহিত্য, সাক্ষাৎকার
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধা নুরের নবী চৌধুরী বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশ। আমরা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। দেশটাকে সোনার বাংলায় পরিণত করলে বঙ্গবন্ধুসহ শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। তিনি  শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি প্রতিবেদককে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের এই ভাষণের পরপরই বাঙ্গালি জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বয়সে তরুণ আমিও যুদ্ধে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলাম। এভাবেই মুক্তি যুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন তিনি। ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি লক্ষীপুর সদর উপজেলার বাংগাখাঁ ইউনিয়নের নেয়মাতপুর গ্রামের দারাগাজী বেপারী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন নুরের নবী চৌধুরী। তাঁর বাবার নাম আবিদ উ
নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে : মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার

নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে : মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার

শিল্প-সাহিত্য, সাক্ষাৎকার
সময় ১৯৭১ সাল। মহান মুক্তিযুদ্ধ। ১৬ বছরের দুরন্ত কিশোর ছিলেন আবুল বাশার। তৎকালীন লক্ষ্মীপুর সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন। বোডিংয়ে (ছাত্রবাস) থেকে লেখাপড়া করতেন তিনি। যুদ্ধ শুরু হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনের লক্ষ্যে যুদ্ধে যোগ দিতে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যান। দেশ স্বাধীন করতে জীবনের মায়া ত্যাগ করে প্রশিক্ষণ শেষে যুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের সাহসী সৈনিকে পরিণত হন সেই কিশোর। তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- আমরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। নিজেদের অধিকার ছিনেয়ে এনেছি। তাই তরুণদের প্রতি আমার আহবান- তোমরা আগামির ভবিষ্যৎ। দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য কাজ করবে। নিজ স্বার্থকে ভুলে গিয়ে অন্যের প্রতি বাড়িয়ে দিতে হবে সহযোগীতায় হাত। এ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। সর্বোচ্চ পড়ালেখা করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করবে। তোমরাই পারবে বিশ্বের দরবারে বাং