নিজস্ব প্রতিবেদক : আবদুল আলিম রনি। থাকেন সৌদিতে। প্রবাসে থাকলেও তার মন পড়ে থাকে নিজ এলাকায়। নিয়মিত খোঁজখবর নেন পড়া-প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের। বিপদে-আপদে সহায়তার হাত বাড়ান অসহায়দের। করোনা পরিস্থিতিতে কমলনগরের ৪০০পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এছাড়াও উপজেলা কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য পাঠিয়েছেন ঈদ উপহার। রনি কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের এবিএম সিদ্দিক মাস্টারের ছেলে; তিনি আলহাজ্ব আবদুল আলিম রনি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে নিন্ম আয়ের মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, গরীব অসহায়দের নেমে আসে চরম দুর্দিন । ঠিক তখনই ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক ও তার স্বজনদের মাধ্যম্যে দরিদ্রদের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। নগদ টাকা দিয়েও সহযোগীতা করেছেন। এলাকার মানুষকে ভালোবেসে ব্যয় করেছেন প্রায় দুই লাখ টাকা। প্রবাসে থেকে এলাকার মানুষের জন্য এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। রনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সৌদিতে আছি। বিদেশে থাকলেও মন পড়ে থাকে গ্রামে। এলাকার অসহায় মানুষের দুঃখ কষ্ঠের কথা মনে পড়ে। করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষের কথা ভেবেই তাদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি। এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। প্রচারবিমুখ প্রবাসী রনি কেবল করোনা কালেই নয়; সব সময় এলাকার অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছেন। গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগীতা করে আসছেন। দিচ্ছেন শিক্ষা উপকরণ। পরীক্ষার ফরম ফিলাপ ও রেজিস্ট্রেশনে গরীব মেধাবীদের পাশে থাকেন। এমন মানবিকতার কারণেই রনি সবার কাছে প্রিয়মুখ।
প্রবাসী প্রিয়মুখ রনি : খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন ৪০০ পরিবারকে
