রামগতি : ১৪হাজার ৭৮০ মিটার কাঁচা রাস্তা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ঘরে-ঘরে বিদ্যুত পৌঁছেনি। বিশুদ্ধ পানির অভাব। ময়লা অবর্জন পেলতে নিদিষ্ট ব্যবস্থা নেই। রাস্তায় চলতে অন্ধকারে নেই আলো। পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাব। সামান্য পাকা রাস্তা থাকলেও সংস্কার অভাবে ব্যবহারের অযোগ্য। এসব পরিস্থিতিতে পিছিয়ে রয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা। এতে সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে নাগরিক। সম্প্রতি পৌরসভাটি ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু বাড়িনি নাগরিক সুবিধা।
লক্ষ্মীপুর জেলায় সর্বশেষ গঠিত হয়েছে রামগতি পৌরসভা। ২০০০ সালে রামগতি পৌরসভা গঠিত হয়। উপজেলার চর আলেকজান্ডার, চর আলগী ও চর বাদাম ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে মেঘনা নদীর কোল ঘেষে ১১.৮১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে এ পৌরসভা। এটি ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়। মেঘনার ভাঙনে পৌর এলাকার আয়তন কমলেও জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ হাজারে। এ পৌরসভায় কোন কলকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বড় ধরনের কোনো আবাসিক স্থাপনা গড়ে উঠেনি। এখানকার প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। রামগতি পৌর সভায় শিক্ষিত হার ৪০ভাগ। এখানে ৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ ও একটি কামিল মাদ্রাসা রয়েছে। আছে ৫টি হাট বাজার।
পৌর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক নাজুক। পৌরসভায় মাত্র ৬ হাজার ২০০ মিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। যার বেশির ভাগ রাস্তায় এখন সংস্কার প্রয়োজন। ১৪হাজার ৭৮০ মিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। ৪ হাজর ২০০ মিটার রাস্তা সলিং। ৩ হাজার ৫০০ মিটার রাস্তা ম্যাকাডোম। বর্ষা মৌসুম ছাড়াও সারা বছর সংস্কারহীন রাস্তায় চলাচলে মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকেনা।
পৌর বাসিন্দদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষকালে কাঁচা রাস্তায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পৌর শহরসহ আশপাশের এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। একটু বৃষ্টিতে রাস্তা ডুবে যায়, বাসা বাড়ির আঙ্গিনায় পানি জমে থাকে। পানি বন্ধি হয়ে পড়ে কয়েক হাজার পরিবার। পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইব্রাহীম মিয়া বলেন, পৌরসভা গঠনের ১৭ বছর পরেও ঘরে-ঘরে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছেনি। এমনও এলাকা আছে যেখানে এখনো বিদ্যুৎ যায়নি। এদিকে, শহরে বিদ্যুৎ থাকলেও রাস্তাঘাটে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা নেই; সন্ধ্যার পর অধিকাংশ রাস্তাঘাট ভুতের গলিতে পরিনত হয়। বর্ষাকালে শিক্ষার্থীরা কাঁদা ও পানি মাড়িয়ে স্কুল-কলেজে যেতে পারে না।
পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় দাস ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন বলেন, জনগণকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু যথাযথ অর্থ বরাদ্দের অভাবে উন্নয়ন কাজ করা যাচ্ছে না।
রামগতি পৌরসভার মেয়র জেবাহ উদ্দিন মেজু বলেন, রামগতি পৌরসভা মেঘনা ভাঙন কবলিত অবহেলিত একটি পৌরসভা। জেলার অন্যান্য পৌরসভার চেয়ে এটি পিছিয়ে রয়েছে। পৌরবাসীর চাহিদা ও জনগণের দুর্ভোগ লাগবে, বিদ্যুত, পানি, স্যানিটেশন, যোগাযোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়, জলবন্ধতা নিরসনসহ বিভিন্ন দুর্ভোগ লাগবে যথাযথ কতৃপক্ষের নিটক আবেদন করছি। আশা করি জনগণের প্রত্যাশা পুরনে কাজ করতে পারবো। তিনি আরও বলেন- গত এপ্রিল মাসে রামগতি পৌরসভা ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। এতে নাগরিক সুবিধা বাড়বে বলে মনে করছি।
লক্ষ্মীপুর জেলায় সর্বশেষ গঠিত হয়েছে রামগতি পৌরসভা। ২০০০ সালে রামগতি পৌরসভা গঠিত হয়। উপজেলার চর আলেকজান্ডার, চর আলগী ও চর বাদাম ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে মেঘনা নদীর কোল ঘেষে ১১.৮১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে এ পৌরসভা। এটি ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়। মেঘনার ভাঙনে পৌর এলাকার আয়তন কমলেও জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ হাজারে। এ পৌরসভায় কোন কলকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বড় ধরনের কোনো আবাসিক স্থাপনা গড়ে উঠেনি। এখানকার প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। রামগতি পৌর সভায় শিক্ষিত হার ৪০ভাগ। এখানে ৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ ও একটি কামিল মাদ্রাসা রয়েছে। আছে ৫টি হাট বাজার।
পৌর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক নাজুক। পৌরসভায় মাত্র ৬ হাজার ২০০ মিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। যার বেশির ভাগ রাস্তায় এখন সংস্কার প্রয়োজন। ১৪হাজার ৭৮০ মিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। ৪ হাজর ২০০ মিটার রাস্তা সলিং। ৩ হাজার ৫০০ মিটার রাস্তা ম্যাকাডোম। বর্ষা মৌসুম ছাড়াও সারা বছর সংস্কারহীন রাস্তায় চলাচলে মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকেনা।
পৌর বাসিন্দদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষকালে কাঁচা রাস্তায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পৌর শহরসহ আশপাশের এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। একটু বৃষ্টিতে রাস্তা ডুবে যায়, বাসা বাড়ির আঙ্গিনায় পানি জমে থাকে। পানি বন্ধি হয়ে পড়ে কয়েক হাজার পরিবার। পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইব্রাহীম মিয়া বলেন, পৌরসভা গঠনের ১৭ বছর পরেও ঘরে-ঘরে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছেনি। এমনও এলাকা আছে যেখানে এখনো বিদ্যুৎ যায়নি। এদিকে, শহরে বিদ্যুৎ থাকলেও রাস্তাঘাটে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা নেই; সন্ধ্যার পর অধিকাংশ রাস্তাঘাট ভুতের গলিতে পরিনত হয়। বর্ষাকালে শিক্ষার্থীরা কাঁদা ও পানি মাড়িয়ে স্কুল-কলেজে যেতে পারে না।
পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় দাস ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন বলেন, জনগণকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু যথাযথ অর্থ বরাদ্দের অভাবে উন্নয়ন কাজ করা যাচ্ছে না।
রামগতি পৌরসভার মেয়র জেবাহ উদ্দিন মেজু বলেন, রামগতি পৌরসভা মেঘনা ভাঙন কবলিত অবহেলিত একটি পৌরসভা। জেলার অন্যান্য পৌরসভার চেয়ে এটি পিছিয়ে রয়েছে। পৌরবাসীর চাহিদা ও জনগণের দুর্ভোগ লাগবে, বিদ্যুত, পানি, স্যানিটেশন, যোগাযোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়, জলবন্ধতা নিরসনসহ বিভিন্ন দুর্ভোগ লাগবে যথাযথ কতৃপক্ষের নিটক আবেদন করছি। আশা করি জনগণের প্রত্যাশা পুরনে কাজ করতে পারবো। তিনি আরও বলেন- গত এপ্রিল মাসে রামগতি পৌরসভা ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। এতে নাগরিক সুবিধা বাড়বে বলে মনে করছি।