তুরস্কে এখনও কাটেনি ‘ব্যর্থ অভ্যুত্থানে’র রেশ। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গত বছরের অভ্যুত্থানের পরপর একের পর এক সরকারি কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেন। বহু মানুষকে জেলে ঢুকান।
ঘটনার দেড় বছরখানেক বাদে দেশটিতে আরও দুই হাজার ৭৫৬ জনকে বরখাস্ত করা হলো। তারা পাবলিক সার্ভিস সেক্টরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার। দেশকে অস্থিতিশীল করতে তার অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার পেছনে ছিলেন।
২০১৬ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় তুর্কি সেনাবাহিনীর একাংশ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের শাসনভার নেওয়ার দাবি করে। যা দেশটির টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। মধ্যরাতে ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়ে তুরস্কের ডানপন্থী সরকার উচ্ছেদের দাবি করে সেনাবাহিনীর একাংশ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মাধ্যমে তারা জানায়, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ সশস্ত্র বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। এতে কারফিউ ও সামরিক আইন জারি হলো। তবে কারফিউর বিরোধিতা করে এরদোগানের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে এলে সংঘর্ষ বাঁধে। মারা যান বহু মানুষ।
শেষ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর সব অংশের সমর্থন না থাকায় এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের তৎপরতায় জনগণ রাস্তায় নেমে এলে বিদ্রোহী সেনাদের ক্যু উদ্যোগ প্রতিহত হয়। অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। ধরপাকড়ে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করে জেলে নেওয়া হয়েছে। চাকরি গেছে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষের।
এই ‘চক্রান্তের’ পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা ধর্মীয়নেতা, ৭৬ বছর বয়সী ফেতুল্লাহ গুলেন জড়িত বলে অভিযোগ সরকারের। তবে অভ্যুত্থানে নিজের সব ধরনের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে আসছেন তিনি।