নিজস্ব প্রতিবেদক :
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন লক্ষ্মীপুরের তরুণ সাংবাদিক শাহ মনির পলাশ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাছিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
পলাশ দৈনিক রূপবানী পত্রিকার লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের স্নাতক (পাস) চূড়ান্ত বর্ষের ফলপ্রত্যাশী ছিলেন।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন পাঠান, জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট রহমত উল্যাহ বিপ্লব, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোফাচ্ছের হোসেন চুন্নু, সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাইফুল ইসলাম স্বপন, রুবেল হোসেন, মামুনুর রশিদ, জামাল উদ্দিন রাফি ও ছাত্রলীগ নেতা মনোয়ার হোসেন জিহাদসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার মাছিমনগর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে সাংবাদিক পলাশকে তার দুই চাচাতো ভাই পিটিয়ে আহত করে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলাশ মারা যান। ময়না তদন্তের জটিলতার কারণে গত ৪ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের হিমাগারের রাখা হয়েছিল পলাশের মরদেহ। ময়নাতদন্ত শেষে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিহতের বাবা মনির হোসেন সদর থানায় বাদি হয়ে আবু ইউছুফ, আবু ছায়েদ ও ইউছুফের স্ত্রী ফয়েজুন নেছাকে আসামি করে মামলা করেন। এরমধ্যে ফয়েজুন নেছাকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যরা পলাতক রয়েছে।
