নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরজগবন্ধু ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আধিপাত্য বিস্তার করতে কুটকৈশল করে সভাপতি হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। তৃতীয়বারের মত সভাপতি হয়ে নিজের দলীয় ও পছন্দের প্রার্থীকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। উপেক্ষা করছেন অন্যান্য সদস্যেদের মতামত। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগী ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই ভুক্তভোগী স্থানীয় সংবাদিকদের অভিযোগ ও অনিয়মের বিষয়ে জানান। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চরজগবন্ধু ইসলামিয়া মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি (গভর্নিং বডির) গঠন হয়। ওই কমিটি মতামতামতের ভিত্তিতে একজন বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচিত করবেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর গভর্ণিং বডি’র প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সংখ্যাগরিষ্ট সদস্যরা ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরীকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচন করতে মতামত দেন। উপস্থিত অভিভাবক সদস্য, দাতা সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধিসহ ৮জনের মধ্যে ৬ জনই ইকবাল হোসেন চৌধুরীর পক্ষে সমর্থন দেন। কিন্তু তিনি সভাপতির পছন্দের লোক না হওয়ায় তার নাম ঘোষণা না করে সভা শেষ করেন। দুই সপ্তাহ পার হলেও বিদ্যুৎসাহী সদস্য পদে ইকবাল হোসেন চৌধুরীকে কমিটিতে যুক্ত কিংবা তার নাম ঘোষণা করা হয়নি। সভাপতি আবুল খায়ের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে তার পছন্দের এক ব্যক্তিকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য করতে অপচেষ্টা করছেন।
এদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতা; সাহেবেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নানান কুটকৌশলে তৃতীয়বারেরমত সভাপতি হয়ে মনগড়া কর্মকান্ড ও আধিপাত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন। সংশ্লিস্টদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানান অভিভাবকসহ শিক্ষানুরাগীরা।
ভোক্তভোগী ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, অনিয়মের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বারবার লিখিত অভিযোগ করেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নুর নবী সাঈদী বলেন, সভায় বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচনে সবার মতমত নেওয়া হয়েছে। এখন বিষয়টি সভাপতির হাতে।
মাদ্রাসার সভাপতি স্থানীয় সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, কমিটির অন্যান্য সদস্যরা অধ্যক্ষ ও সভাপতি’র ওপর বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচনের বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
কমলনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।