ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আগামী নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ দেখতে চায়। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকায় ইইউ দূতাবাস শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আগামীতে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানবাধিকার উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের প্রতি সম্মানে আমরা জোরালোভাবে বিশ্বাস করি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা অনুমোদন করে। সদস্য রাষ্ট্রগুলো তা গ্রহণ করে। তাদের আইন ও আইনি বাধ্যবাধকতায় যুক্ত করে। এ বছর বিশ্ব এই ঘোষণার ৬৯তম বার্ষিকী পালন করছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য জাতি, বয়স, জেন্ডারের পরিচয়, যৌন চর্চার পরিচয়, ধর্ম বা রাজনৈতিক পরিচয়, প্রতিবন্ধিত্ব কিংবা সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে সবার মানবাধিকারের উন্নয়ন ও সুরক্ষা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এতে আরও বলা হয়, ‘ইইউ চুক্তি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাজের অন্যতম মূল্যবোধ হলÑ মানবিক মর্যাদা, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সমতা, আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান। ২০০১ সালে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহযোগিতা চুক্তি সই করে। উভয়পক্ষ জাতিসংঘ কনভেনশনের আলোকে মানবাধিকারের নীতির গুরুত্বের প্রতি প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করে। ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠে মানবাধিকার।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিষয়ে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিশ্বকে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা সই হওয়ার প্রায় ৭০ বছর পরও ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম ও জাতিগত ক্ষেত্রে বড় ধরনের দমন-পীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় অধিকারের প্রশ্ন এখনও অনেক মূল্যবান। রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ব্যাপারে ইইউ সোচ্চার। রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা অব্যাহত রাখার জন্য ইইউ বাংলাদেশকে উৎসাহিত করে।’
আগামী নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ দেখতে চায় ইইউ
