নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক গৃহবধূকে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির মামলার আসামি মোহাম্মদ আলী কাজীকে (৪০) গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার (৩০ মে) দুপুরে বাদী পক্ষের আইনজীবি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আসামি মোহাম্মদ আলী উপজেলার চরকাছিয়া গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে। মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, প্রায় ১৮ বছর আগে রায়পুর উপজেলার চরলক্ষী গ্রামের রাবেয়া আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের আলমগীর হোসেন সরদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রাবেয়া স্থানীয় একটি রেজিষ্টার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি নেন। পরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের চাপে চাকরিটি ছেড়ে দেন। প্রায় ৭ বছর আগে আলমগীর কাজের সন্ধানে সৌদি আরব যান। এরপর থেকে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের খোঁজ-খবর নেওয়া থেকে বিরত থাকে ও ভরণ পোষন দেননি। এতে ছেলেমেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাকে। এদিকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে বাবার বাড়ি চলে যেতে চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে একাধিকবার তাকে মারধর করা হয়। গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়িতে একা পেয়ে মোহাম্মদ আলী তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে পালিয়ে যায় তিনি। এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল রাবেয়া বাদী হয়ে মোহাম্মদ আলী কাজীকে প্রধান আসামি করে শাহনাজ আক্তার, সাহিদা রহমান ও বাদশা মাঝির নামে লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য লুধুয়া এম এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দায়িত্ব দেন। এসময় আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ মে) গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। আদালতে প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে। উল্লেখিত ঘটনাগুলো নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ করা হলেও আসামিরা তা মেনে নেননি। আসামি মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আসামি মোহাম্মদ আলী কাজী বলেন, মামলা হয়েছে বলে আমি শুনেছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।
শ্লীলতাহানির অভিযোগ : রায়পুরে প্রধান আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা
