বেঙ্গল শুর সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে ইউরোপ-আমেরিকায়। বর্তমানে ইতালি, জার্মানি, ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, কানাডা ও জাপানসহ ২৮টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
এ ছাড়া আরো কয়েকটি দেশে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে অবস্থিত এই কারখানায় প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করছে। সেখানে প্রতি মাসে দেড় লাখ জোড়া জুতা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। গ্রামের সাধারণ শ্রমিকের হাতে শতভাগ রপ্তানিমুখী চামড়াজাত জুতা তৈরি হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া গ্রামে ১৬ একর জায়গাজুড়ে বেঙ্গল শু ইন্ডাস্ট্রির অবস্থান। শিল্পপতি টিপু সুলতান পরিবার এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদনে আসে। উৎপাদিত এক কাভার্ড ভ্যান শু একই বছরের ১৪ আগস্ট প্রথম ইউরোপে রপ্তানির মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কারখানাটি থেকে প্রতিদিন রপ্তানিমুখী ৫ হাজার জুতা তৈরি হচ্ছে।
কারাখানায় প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করে। এর মধ্যে এক হাজারেরও বেশি নারী শ্রমিক রয়েছে। শ্রমিক ফারুক হোসেন ও নাজমা আক্তার জানিয়েছেন, এ অঞ্চলের পুরুষের পাশাপাশি অনেক অসহায় নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। মাস শেষে নিয়মিত বেতন, নিজস্ব পরিবহনে যাতায়াত, দুপুরের খাবার ফ্রি, চিকিৎসা ফ্রি ও আবাসন ব্যবস্থা পাচ্ছেন তাঁরা। নিজ বাড়িতে থেকেই কাজ করতে পারছেন অনেক নারী।
বেঙ্গল শু ইন্ডাস্ট্রিজের উপমহাব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তাঁদের উৎপাদিত পণ্য নিয়মিত ইতালি, জার্মানি, ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, কানাডা ও জাপানসহ ২৮-৩০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর থেকে ২৮ দেশে রপ্তানি হয় বেঙ্গলের জুতা
