মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩সত্য ও সুন্দর আগামীর স্বপ্নে...

তোমাদের দিয়ে কিছুই হবে না !

তোমাদের দিয়ে কিছুই হবে না !

আবদুল্লাহ আল মামুন : একটি শিশু পৃথিবীর আলো দেখার পর থেকেই শুরু হয় জীবন যুদ্ধ। যদিও তখন সে অবুঝ ও নিষ্পাপ। কয়েক বছর পর স্কুল জীবন শুরু হয় তার। সাথে যোগ হয় হতাশা। পড়া না পারলে কিংবা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল না আসলে শুনতে হয় উপদেশমূলক বাণী। আবার শিক্ষক ও পরিবারের গুরুজনরা বলে ‘তোমাদের দিয়ে কিছুই হবে না’। এটা যেন একটি মন্ত্র যা ছোট বেলায় মনের মধ্যে গেঁথে থাকে।তারপরও কোনরকম প্রাথমিকের গন্ডি পার করে মাধ্যমিকে অগ্রসর। এদিকে অনেকেই প্রাথমিকের গন্ডি শেষ না হতেই কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ে। বাকিরা মাধ্যমিকের দেওয়াল টপকাতে মরিয়া হয়ে পড়ে। সেখানেও অনেকে ছিটকে পড়ে। এরপরে কলেজে ভর্তি হতে হবে। তাও আবার ভালো নামিদামী কলেজে নাহলে স্ট্যাটাসে বাধবে। আবার ভালো কলেজে ভর্তি না হতে পারলে জীবনে কিছু করা যাবে না। এনিয়ে মনের মধ্যে হতাশার কালো আবরণ দানা বাধে। এরপর ধীরে ধীরে উচ্চ মাধ্যমিক, গ্র্যাজুয়েশন, মাষ্টার্স শেষ করে সরকারি কিংবা ভালো কোন কোম্পানিতে চাকরি না করতে পারলে জীবনের আকাঙ্খা হারিয়ে যায়। যদিও একটা চাকরি পায় তাও ৬ মাসের মধ্যে বেতন না বাড়ালে তখন মনে হয় আসলেই আমাদের দিয়ে কিছুই হবে না। আসলে নিজের ওপর দুর্বল বিশ্বাস হতাশার বড় কারণ। আর দুর্বলতাটা পিছু নেই গুরুজনদের ভবিষ্যত বাণী থেকে। কেননা জীবনের শুরুতে গুরুজনদের সেই কথাটি ‘তোমাদের দিয়ে কিছুই হবে না’ মনের মধ্যে গেঁথে থাকে। আমার মতে, এই ভাবনা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হলে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। নিজের জীবনকে নিজের মতো করে সাজাতে হবে। আগে পিছে কে কি বলেছে তা লক্ষ্য করা যাবে না। কিন্তু ভালো কোন পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে সবসময় সৎ ও সত্যের পথে থাকতে হবে। সবসময় নিজেকে সুখি ভাবতে হবে। এছাড়া কখনোই অহংবোধ নিয়ে কাজ করা যাবে না। কেননা অহংকার পতনের মূল। খারাপ কাজগুলো পরিত্যাগ করে ভালোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। কেননা ধৈর্য্য ধারণ করলে জীবনের সাফল্য অত্যাবশ্যক। সবশেষ জীবনের একটি লক্ষ্য স্থাপন করতে হবে। যা হবে জীবনের একটি মাইলফলক।
  • Facebook
  • Twitter
  • LinkedIn
  • Print
Copy link
Powered by Social Snap