নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন বছরের শুরুতেই প্রায় সব বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ হয়েছে। আবার অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকবৃন্দ তো ইতোমধ্যে বনভোজনও সম্পূর্ণ করেছেন। তবে এতো কিছু করার সামর্থ না থাকলেও সাদামাটা আয়োজনে একটি উৎসবমুখর দিন উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে সদর উপজেলার ফরাশগঞ্জ গ্রামের ডা. মোমতাজ উদ্দিন আলোকিত স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ঝরে পড়া ও দরিদ্র শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিঃ আরিফ চৌধুরী শুভ’র ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সারাদিন উৎসবের আমেজে মেতে ছিল আলোকিত স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়।
বিকাল ৩টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ী প্রতিযোগিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, লক্ষ্মীপুরের প্রাক্তণ সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফ। ডা. মোমতাজ উদ্দিন আলোকিত স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক এবিএম নোমান উদ্দিন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সহযোগি অধ্যাপক খন্দকার ইউসূফ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিঃ আরিফ চৌধুরী শুভ, শিক্ষক আবু তাহের, লুৎফুর রহমান, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
এরআগে আনন্দভোজ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আলোকিত স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থীর সাথে দুপুরের খাবার সম্পন্ন করেন আমন্ত্রিত অতিথি, শিক্ষক এবং অভিভাবকবৃন্দ।
আলোকিত পাঠাগার ও জাতীয় পাঠাগার আন্দোলনের সার্বিক সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে আলোকিত পাঠাগার কর্তৃক প্রদত্ত ফরাশগঞ্জ গ্রামের হতদরিদ্র ৫টি পরিবারের মাঝে আলোকিত ঘরের প্রতিকী তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
